Snake bite: সাপে কাটলে ভয় না পেয়ে রোগীকে বাঁচাতে যা যা করণীয়

Snake bite:বর্ষাকাল এলে গ্রামবাংলায় সাপের আনাগোনা বেশি দেখা যায়। এই সময় সাপের ছোবলে রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকে। সাপে কাটলে কোন ওঝা বা কবিরাজের কাছে না নিয়ে, দ্রুত হসপিটালে নিয়ে যাওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন বিষধর হোক বা বিষ না থাকুক সাপের ছোবল খেলেই রোগীর মরমর অবস্থা হয়। অতিরিক্ত আতঙ্কের কারণে রোগীর শারীরিক ও মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। সঠিক সিদ্ধান্ত না নিয়ে ভুল পদক্ষেপের কারণে অনেকেরই প্রাণ হারাতে হয়।

১) ডাক্তাররা বলেছেন সাপে কাটা রোগীর প্রাইমটাইম হলো ১০০ মিনিট। এই টাইমের মধ্য ঔষধ দিলে রোগীকে বাঁচানো যেতে পারে। তাই একেবারে দেরি করা চলবে না।

২) সাপে কাটার ৮ ঘণ্টার মধ্যে ‘এএসিপি’ অ্যান্টি স্নেক ভেনম দিতে হবে তবে। তবে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব। তা না হলে রোগীর প্রাণ সংশয় হতে পারে।

৩) চন্দ্রবোড়ার মতো বিষধর সাপে কামড়ালে প্রতি মিনিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফলে যত সময় নষ্ট করা হবে রোগীর প্রান সংশয় তত বাড়তে থাকবে। এই সময় প্রতি মিনিট নষ্ট হলে কিডনি খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা এক শতাংশ বেড়ে যায়।

৪)যে জায়গায় সাপে ছোবল মারবে সেই ক্ষতস্থানে বেশি নাড়াচাড়া করানো যাবে না। ক্রেপ ব্যান্ডেজ বা হালকা কাপড় দিয়ে ভালো করে বাধা যেতে পারে। ঠিক যেভাবে হাত পা ভেঙে গেলে ব্যান্ডেজ করা হয়। বাধাটা এমন ভাবে বাঁধতে হবে যাতে খুব আটাসুটা বা ঢিলে ডালা কোনটাই না হয়। খুব বেশি শক্ত করে বাধলে রক্ত চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। যেহেতু মাংসপেশির সংকোচনে বিষ দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে তাই সাপে কাটার জায়গা বেশি নাড়াচড়া করানো যাবে না।

৫) সাপের ছোবলে ভারতে প্রতিবছর শিকার হয় প্রায় ২৮ লাখ মানুষ আর মারা যায় 50 হাজার। সাম্প্রতিক একটি খবরে দেখা গেছে, গত দুই দশকে শুধু ভারতেই সাপের কামড়ে মারা গেছে ১২ লাখের বেশি মানুষ।
সমস্ত পৃথিবীতে প্রতি বছরে সাপের ছোবলে মৃত্যুর সংখ্যা হয়েছে ৮১ হাজার থেকে এক লাখ ৩৮ হাজারের মধ্যে। কাল ক্রমে যারা সাপের ছোবল খেয়েও প্রাণে বেঁচে যান তাদের জীবনেও এর সৃদুর প্রসারিত প্রভাব পড়ে।

সাম্প্রতিক জানা গেছে হলুদ চাষির পায়ে একটি সাপে ছোবল মেরেছিল। সে ক্ষেতে আগাছা পরিষ্কার করছিল। তার গোড়ালির চারপাশের মাংস বেশি পচে যায়। পরবর্তীতে ওই পচন তার আটু পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। তার ফলে সে এখন আর কোন কাজকর্ম করতে পারে না। ডাক্তাররা পরবর্তীতে তার পচা অংশটুকু কেটে বাদ দিয়েছিল।

৬) সর্পদংশনের কিন্তু বিরাট একটা মনস্তাত্ত্বিক প্রভাবও রয়েছে। যা নিয়ে গবেষণারা সবেমাত্র কাজ করা শুরু করেছে। সাপে কাটার মানসিক প্রভাবও কিন্তু মানুষের জীবনে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। অনেকেই সাপে কাটার পরে কাজকর্ম করতে পারেনা -কেউ ভয়ে আবার কেউ প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ার কারণে।

আরও পড়ড়ুন-faster beard growth tips: মুখ ভর্তি চাপ দাড়ি গজানোর কয়েকটি উপায়! জেনেনিন সকলে

Leave a comment